দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী বাংলাদেশীরা ঢাকা বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার
SABD | JOHANNESBURG | RSA
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী বাংলাদেশীরা ঢাকা বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার
দক্ষিণ আফ্রিকাস্থ বিভিন্ন ফেচবুক পেইজ ও ফেচবুক আইডি সহ অন্যান্য সোসাল মিডিয়ায় নিম্নের পোষ্ট টি ভাইরাল হতে দেখা যায়।বিস্তারিত পুরো রিপোর্ট পড়ুন।
আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় দূর্নীতি দমন কমিশনের ভাইয়েরা- (Anti-Corruption Commission - Bangladesh) অনুগ্রহ পূর্বক আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলছি, আজ অত্যন্ত দুঃখের সাথে আপনাদের উদ্দেশ্য কিছু কথা লিখতে বসেছি। জানিনা আপনাদের মনোযোগ পাবো কিনা, তবুও লিখতে যখন বসেছি তবে লিখেই ফেলি।কারণ আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।
বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় আসার সময় পৃথিবীর নানান দেশে যাওয়া যাত্রীদের সাথে আমরা একসাথেই লাইনে দাঁড়াই।
দাঁড়ানোর পরে আমরা দেখি সবাই বোর্ডিং পাস সহজে পেয়ে গেলেও আমরা যারা দঃ আফ্রিকার যাত্রী তাদেরকে সহজে বোর্ডিং পাস দেয়া হয় না।
আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হয় উপর থেকে নেমে আসা একজন অফিসারের জন্য, যাকে উনারা বলেন এয়ারলাইনস ম্যানেজার।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উনারা বাইনোকুলার দিয়ে আমাদের ভিসা চেক করেন এবং নানাবিধ ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করেন।
অথচ দঃ আফ্রিকার ভিসা খোদ দঃ আফ্রিকাতেই বাইনোকুলার দিয়ে সেকেলে পদ্ধতিতে চেক করা হয় না।কেননা তারা সিস্টেমে ঢুকে চেক করে অথবা ভিএফএসের অন লাইন ওয়েবসাইটে চেক করে।বাংলাদেশ ছাড়া বিশ্বব্যাপী আর কোথাও বাইনোকুলার দিয়ে ভিসা চেক করা হয় কিনা তা আমার জানা নেই।
বাংলাদেশের এয়ারলাইনস কোম্পানির লোকদের বারবার বলা হয়েছে দঃআফ্রিকার ভিসা ভিএফএস হয়ে আসে।ভিএফএস এমন একটি ওয়েব সাইট যেটাতে দঃ আফ্রিকার ভিসার কন্ট্রোল নাম্বার লিখে চেক করলেই উল্লিখিত ভিসার ডিটেইলস মিলবে।
তবুও তারা ভিএফএসে চেক না করে বাইনোকুলার দিয়ে কী যেন দেখে বা দেখার ভান করে নানাবিধ ইস্যু বের করে।
অতঃপর তাদের মনগড়া বা দায়সারা যুক্তি দিয়ে অনেক সময় যাত্রীদের বিমানে উঠতে দেয় না।এক্ষেত্রে প্রায়ই তারা বলে থাকে যাত্রী ফেরত আসবে বিধায় যাত্রীকে উঠতে দেয়া হয়নি।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে যেই যাত্রী ফেরত আসবে বিধায় উঠতে পারলোনা, সেই একই যাত্রী কিভাবে পরবর্তীতে কন্ট্রাকের মাধ্যমে দঃআফ্রিকায় আসে? এটি কি দূর্নীতি নয়? টাকা দিলে যেতে পারবে আর নহয় উঠতেই দিবেনা? হায়রে সোনার বাংলা, এই বুঝি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার অবস্থা? যায়গায় যায়গায় ঘুষখোর!
কন্ট্রাক করার পর তখন কেন তারা সন্দেহ করেনা? যেখানে যাত্রী ফেরত এলে যাত্রী কর্তৃক জরিমানা প্রদানের নিয়ম আছে, সেখানে যাত্রী ফিরে এলে এয়ারলাইনসের সমস্যা কোথায়?
তাছাড়া এয়ারলাইনস কোম্পানিগুলোকে ইমিগ্রেশনের পাওয়ার কেন দেয়া হলো বা কেন তারা ইমিগ্রেশনের পাওয়ার দেখায়? এই অধিকার তাদের কে দিয়েছে?
আরেকটি কথা হলো একটি এয়ারলাইনসে করে একজন যাত্রী যখন দঃআফ্রিকা থেকে বাংলাদেশের আপ-ডাউন টিকিট নিয়ে যায় তখন এখানকার এয়ারলাইনস যদি তাকে দেশে নিতে পারে, তখন ডাউন টিকেটে সে ফিরে আসার সময় তাকে এতো ঝামেলা পোহাতে হবে কেন?
বলাবাহুল্য ইতিপূর্বে ঢাকা এয়ারপোর্টে আবু ইউসুফ (বানসুরি) নামের একজন ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন।তিনি থাকাকালীন এই সমস্যা অনেকাংশেই কমে গিয়েছিলো।
কিন্তু তিনি বদলী হয়ে দূদকে চলে যাবার পর থেকে ঢাকা এয়ারপোর্টের এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলোর এসব ফাজলামো আবারো শুরু হয়েছে।
অতএব এয়ারলাইনস কোম্পানিগুলোর এহেন জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ কর্মে আপনাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
দয়া করে এগিয়ে আসুন। যাদের কাজ যাত্রী বহন করা, তারা যদি ইমিগ্রেশন সেজে বসে থাকে তবে সেটা দুঃখজনক ঘটনা ছাড়া আর কিছু নয়।
অনতিবিলম্বে ঢাকা এয়ারপোর্টের কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলছি, আপনারা এই সমস্যা গুলোর সমাধান না করলে আমরা সকল স্তরের প্রবাসীরা বিষয়গুলো গণমাধ্যম, যোগাযোগ মাধ্যম, সোসাল মিডিয়ায় লিখালিখি করতে বাধ্য হবো।
আমার শুভাকাঙ্ক্ষী সকল ভাইদের প্রতি অনুরোধ রইলো, এই পোষ্টটি বেশি বেশি শেয়ার করে এয়ারপোর্টের সকল দূর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।
কৃতজ্ঞতায়ঃ- বাংলাদেশী ইন সাউথ আফ্রিকা
এইটা চরম সত্য ঘটনা।এর সমাধান হওয়া জরুরি দরকার।সরকার কেন এই বিষয়ে নজর দেয় না।South africa এর প্রবাসী বাংগালী ইউরোপ,আমেরিকার চেয়ে কম টাকা পাঠায় না।সরকার অতি দ্রত এর সমাধান করুক এটা আমরা আশা করি।
ReplyDelete