কেমন আছে সাউথ আফ্রিকায় অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশীরা ?



SABD | JOHANNESBURG | RSA


কেমন যাচ্ছে সাউথ আফ্রিকায় অবস্থিত  প্রবাসী বাংলাদেশীদের জীবন?

সাউথ আফ্রিকা যে সারা দুনিয়ার মাঝে অনিন্দ্য সুন্দর একটি দেশ সেটার মাঝে কোনো সন্দেহ নেই। এই দেশের রাস্তাঘাট ওয়ার্ল্ড ক্লাস। খাদ্য, চিকিৎসা, পড়াশুনা, গান বাজনা, ইত্যাদিতে এই দেশটি ইউরোপের চেয়ে কোনো অংশে পিছিয়ে নেই বরং কোনো কোনো দিকে এগিয়ে থাকবে। 

শুধু একটাই সমস্যা, এখানকার আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের অনুকুলে নেই এবং এখানকার স্থানীয় জনগনের সেন্টিমেন্ট আমাদের বিপক্ষে চলে গেছে।

এদের মাঝে বিশাল একটি জনগোষ্ঠী আমাদেরকে মনে মনে ঘৃণাই করে।এদের পেপার-পত্রিকা, নিউজ, ম্যাগাজিন পড়লে বুঝা যায় এরা আমাদের বিপক্ষে কীভাবে উঠে পড়ে লেগেছে। এর পিছনে কারণও আছে।

বর্তামানে এখানে আফ্রিকার নানান দেশ যেমন- নাইজেরিয়া, জিম্বাবুয়ে, মালাওয়ে, মোজাম্বিক, তানজানিয়া, বুরুন্ডি থেকে লক্ষ লক্ষ লোক এসে অবৈধভাবে বসবাস করছে এবং বিভিন্ন ক্রাইমের সাথে জড়িত হচ্ছে। 

বলাবাহুল্য এরা ড্রাগ বিক্রি করছে।এর মাঝে আমাদের সাউথ এশিয়ার ইন্ডিয়ানদের বিপক্ষে এদের সেই অর্থে অভিযোগ নেই বললেই চলে।

কেননা ইন্ডিয়ানরা এখানে ভালো পজিশানে আছে৷ এদেরকে নিয়ম মেনে চলতে দেখা যায়। এদের যতো বিদ্বেষ শুধু আমাদের আর পাকিস্তানিদের উপরে। 

কেননা আমরা যত্রতত্র দোকান খুলে পরিবেশ নষ্ট করছি, কিডন্যাপিংয়ের সাথে জড়িত হচ্ছি, আদম ব্যবসা করে এদের বর্ডারকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছি, ইদানীং রেইপ কেসে ধরা পড়েছে এমন বাঙালির খবরও পাওয়া গেছে। 

সব মিলিয়ে আমাদের অবস্থা একেবারেই নেগেটিভ। জানিনা কতো বছর লাগবে এসব ঠিক হতে বা আদৌ এসব আর ঠিক হবে কিনা। তবে ডিপার্টমেন্ট অব হোম আফেয়ার্স একটা সিদ্ধান্তে আসতে চাচ্ছে। 

তারা সম্ভবত আন্তর্জাতিক রিফোজি এক্টে সাইন করা দেশগুলোর মিটিংয়ে একটি বিষয় আনতে পারে। তা হলো এসাইলাম সিকারদের দেশ পরিবর্তন প্রসঙ্গে। 

অর্থাৎ এখানে অতিরিক্ত এসাইলামধারী হয়ে গেছে। তারা দেখবে কিছু এসাইলামধারী অন্য কোনো দেশে স্থানান্তর করা যায় কিনা। 

পরীক্ষামূলকভাবে সোমালিয়া এবং ইথিওপিয়ান কয়েকজন এসাইলামধারীকে ডিপার্টমেন্ট অফ হোম আফেয়ার্স ইন্টারভিউ তে ডেকেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।   

তবে আপাততইউরোপীয় ইউনিয়ন যে আফ্রিকা থেকে এসাইলামধারীদের টেনে নিবেনা এই ব্যাপারে নিশ্চিত।

সেই অর্থে এরা হয়তো বাধ্য হয়ে লিভ দ্যা কান্ট্রি ব্যবহার করা ছাড়া আর কনো উপায় থাকছেনা।পরবর্তী মিটিং বসতে আরো এক বছর লাগছে।পরের বছর জানা যাবে কি হতে চলেছে।কি হবে আর না হবে তা সময় বলে দিবে। 


Comments