দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী বাংলাদেশীরা বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ
SABD | JOHANNESBURG | RSA
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী বাংলাদেশীরা বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ
কোনো মানুষই চায় না সাউথ আফ্রিকার মতো একটা দেশে এসে জীবন কাটাতে। কিন্তু সময়ে-অসময়ে মানুষ বাধ্য হয়ে আফ্রিকায় আসে এবং জীবীকার সন্ধান করে।
এখানে এসে আমরা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দিয়ে এসাইলাম পেপার নিয়ে ফেলি বিধায় এখানকার যাবতীয় সমস্যায় বাংলাদেশ সরকার আমাদেরকে কোনোরূপ সহায়তা করতে পারে না।
সত্যি কথা বলতে গেলে বলতে হয় আমরা কাগজপত্রে মূলত জাতিসংঘের আন্ডারে আছি।আমাদের দেখভাল করার দায়িত্ব সাউথ আফ্রিকান সরকারের।
আমাদের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার বা বাংলাদেশ হাইকমিশন কোনোরূপ রিকোয়েস্ট করলেও এই দেশের সরকার সেটা শুনবেনা কারণ আগেই বলেছি আমরা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দিয়ে এসাইলাম নিয়ে জাতিসংঘের আণ্ডারে চলে গেছি।
তাই এখানে বাংলাদেশ সরকারের কিছু করার নেই।কিন্তু একটি সত্য কথা হচ্ছে এখান থেকে প্রচুর পরিমাণ অর্থ যায় এবং এই রেমিট্যান্স পেয়ে সরকারও আমাদের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে।
আমরা নিজেদের তৈরি করা রাস্তায় পাহাড় জঙ্গল বেয়ে নিজেদের কর্মসংস্থান তৈরী করেছি এতে নিঃসন্দেহে সরকারের উপর চাপ কমে গেছে।
আমাদের মাধ্যমে আমাদের পরিবার উপকৃত হচ্ছে, সর্বোপরি আমরা কিন্তু বাংলাদেশেরই মানুষ।অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় সাউথ আফ্রিকাতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় বাঙালি মৃত্যুর হার অনেক বেশি।
এখানকার সন্ত্রাসীরা রাস্তাঘাটে, বাসা কিংবা দোকানে এসে বাঙালিদের খুন করে চলে যায়। বাঙালি পেলেই তাকে নাস্তানাবুদ করা, তার সাথে বর্ণবাদী আচরণ করা বা তাকে মেরে ফেলা যেন এদের একটা পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বলাবাহুল্য আমাদেরকে মেরে ফেলতে পারলে যেন এরা আরও খুশি হয়।যদিও সব মানুষ খারাপ নয়,কিন্তু বেশিরভাগই আমাদের বিপক্ষে।
আমরা বলছিনা সব দোষ তাদের, কিছু দোষ আমাদেরও আছে, কিন্তু যেকোনো তর্কের উর্ধ্বে গিয়ে বলতে হয় খুন একটি জঘন্যতম অপরাধ এবং যেকোনো অবস্থায় যিনি খুন করেন তার দোষই পৃথিবীর আদালতে বেশি ধরা হয় (শুধু সাউথ আফ্রিকা ছাড়া)।
এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকারের নিকট আমাদের অনুরোধ-
আমরা অনেক সময় লাশ পাঠাতে হিমশিম খেয়ে পড়ি, একটা লাশ পাঠাতে যেই টাকা খরচ হয় তা দিয়ে বেশ কয়েকজন যাত্রী আসা যাওয়া করতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার যেন এগিয়ে আসে।এখানে এমনিতেই অসম্মান জনক অবস্থায় আমরা থাকছি।তার উপর লাশের সামনে টাকা তুলাতুলি যেন মরে গিয়েও অশান্তির মধ্যে থাকা।
তাছাড়া টাকার অভাবে লাশটিকে দীর্ঘদিন মর্গে পড়ে থাকতে হয় যেটা চূড়ান্ত রকমের অসহায়ত্ব। তাই রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের লাশটি যেন সাউথ আফ্রিকা থেকে সরকারীভাবে পাঠানো হয় সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
Md Shahriar Alam MP
Zunaid Ahmed Palak
এই বিষয়ে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সূত্র:- Bangladeshi in south africa
Comments
Post a Comment