সাউথ আফ্রিকায় আবারো রেমিট্যান্স যোদ্ধা খুন
SAPB | JOHANNESBURG | RSA
______________________________________________
🌱 জোহানেসবার্গ 🌱
______________________________________________
সাউথ আফ্রিকায় আবারো কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসীদের পিস্তলের বুলেট কেড়ে নিলো প্রবাসী বাংলাদেশী যুবকের প্রাণ।
🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩
আবারও লাশের মিছিলে যোগ হল সাউথ আফ্রিকা রেমিট্যান্স যোদ্ধা প্রবাসী বাংলাদেশী যুবক সাইমন।
🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩
দক্ষিণ আফ্রিকার খাউটেং প্রভিন্সের জোহানেস-বার্গ এর পাশবর্তী এরিয়া সোয়েটো নামক যায়গায় গত ২৪ এপ্রিল ২০১৯ ইং তারিখ (বুধবার) ডাকাতের গুলিতে গুরুতর আহত হয়ে ২২ বছরের বয়সী প্রবাসী বাংলাদেশী তরুন যুবক সাইমন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে আজ বিকেল ৪ টার দিকে ইন্তেকাল করেন।
ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাহি রাজিউন।
ডাকাতের গুলিতে আহত হয়ে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা খাইটেং প্রভিন্সের জোহানের্স-বার্গ সোয়েটো পার্ক স্টেশন এর অপজিশন সাইডে অবস্থীত অন্যতম সুচিকিৎসকদের স্থান বারাগুনা নামক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন।
তার দেশের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলায়।
আমরা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং নিহতের শোকাহত পরিবার এর প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আল্লাহ মরহুমকে শহীদদের মর্জাদা দান করুন।আমিন।
___________________________________________
বিদ্রঃ প্রবাসীরা দেশের সূর্য সন্তান।প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের উপর ভর করেই টিকে আছে আমাদের অর্থনীতি।সংসারের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় বাজেট পর্যন্ত সর্ব-ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে সূর্য সন্তানরা।ইনশাআল্লাহ্ ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।
ছোট ভাইকে জেলা শহরের দামী স্কুলে পড়াবো, ছোট বোনটার পড়ালেখা শেষ হলে একটা ভাল পাত্র দেখে ধূমধাম করে তার বিয়ে দিবো।ঢাকার হাসপাতালে বাবা-মার চিকিৎসা করাবো।শহরতলীতে নিজের একখণ্ড জমিন থাকবে।রাজধানীতে না হোক, অন্তত জেলা শহরে নিজের একটা বাড়ি থাকবে।নিজের সন্তানদের উন্নত ভবিষ্যৎ।প্রিয়তমা স্ত্রীর থাকবে অনেক গহনা এবং অবসরে যাওয়ার পর বাকী জীবন চলার মত একটা মূলধন, যা বিনিয়োগ করে জীবিকা নির্বাহ করা যাবে।
এমন হাজারো স্বপ্ন নিয়ে আমরা প্রিয়জনদের ছেড়ে প্রবাসে আসি।খুব কম সংখ্যক ভাগ্যবান মানুষ আছে, যাদের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।আর বেশীরভাগ মানুষের স্বপ্নগুলো সাদাকালো’ই থেকে যায়।
তার ভিতরে এই দক্ষিণ আফ্রিকা সহ পৃথীবির নানান প্রান্তে অল্প বয়সে জীবন কোরবানী দিতে হচ্ছে পরিবারের জীবিকার তাগিতে থাকা অসহায় নিরীহ প্রবাসী বাংলাদেশীদের।
তারপরও কেউ বুঝতে চায় না প্রবাসীদেরকে।তারপরেও পরিবারে থাকা বউ কিংবা সম্মন্ধিরা খুজে বেড়ায় না জানি সাইমনের মত পরিবারের দিকে তাকিয়ে জীবন ত্যাগ শিকার করা ব্যক্তিটির ব্যাংক ব্যলেন্স কিংবা গাড়িবাড়ির হিসেব নিকেশ কি কিংবা সেগুলোর নিজেদের আওতায় কবে আনা যাবে তা নিয়ে বেশ চিন্তিতো।
একজন প্রবাসী যতক্ষণ তার পরিবার পরিজনের চাহিদা পূরণ করতে পারে, ততক্ষণই সে ভাল।চাহিদা পূরণ করতে না পারলে সবাই ভাবে, ব্যাংকে ওর অঢেল টাকা আছে।
সবার অগোচরে শ্বশুর বাড়িতে জমি কিনেছে।শ্বশুর বাড়িতে বৌয়ের নামে টাকার পাহাড় বানিয়েছে।বৌয়ের কথা ধরে সে এখন আগের মত টাকা-পয়সা দেয় না।
কিন্তু কেউ একবারের জন্যও ভাবে না যে, ছোট ভাই/বোনের লেখাপড়ার খরচ, বাবা মায়ের চিকিৎসা খরচ, নিজের বৌ-বাচ্চাদের শিক্ষা ও চিকিৎসার খরচ।
সংসার চালানোর পর একটা মানুষের কাছে আর কি’বা থাকতে পারে? এমনো’তো হতে পারে, সে ঋণে জর্জরিত হয়ে বাড়িতে ঠিক মত টাকা পয়সা দিতে পারতেছে না।
হয়তো, পরিবারের সুখ শান্তির কথা চিন্তা করে পূর্বে কোম্পানি / বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে ধার নিয়েছে, যা এখন তাকে শোধ করতে হচ্ছে।
নিরুপায় মানুষটাকে কেউ বুঝতে চায় না। হায়রে প্রবাস! একজন প্রবাসীই বুঝে আরেকজন প্রবাসীর কষ্ট, নাহয় এই দুনিয়াতে আমাদের বুঝার মত আর কেউ নাই।
Comments
Post a Comment