দক্ষিণ আফ্রিকায় বাড়ি ডাকাতিতে গুলি করে হত্যা
SAPB | JOHANNESBURG | RSA
দক্ষিণ আফ্রিকায় বাড়ি ডাকাতিতে গুলি করে হত্যা
জোহানেসবার্গ রিপোর্ট : দুই ডাকাত বাড়ি ডাকাতি করতে গিয়ে বাড়ি ভেঙ্গে একজন কে গুলি করে হত্যা করেছে এবং নিহতের ৭বছর বয়সী মেয়ে কে মেরে আহত করেছে।
আমরা এই রিপোর্ট দেয়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে, এই দেশে শুধু আমরা প্রবাসীরা নয়।এই দেশের স্থানীয়রাও সন্ত্রাসীদের হামলায় ভুক্তভোগী।আর এই ভুক্তভোগী কে কেন্দ্র করে এই দেশের প্রশাসন ও অতি বিরক্তিকর।সুতারাং- যেখানে এই দেশের নিজ স্থানীয় জনগন নিরাপদ নয় সেখানে আমরা প্রবাসীরা কতটুকু নিরাপদ? আর এই আমরা প্রবাসীদের এই দেশের প্রশাসন তাদের সহায়তার মাধ্যমে আমাদের কতটুকু নিরাপত্তা ও নিরাপদ জীবন উপহার দিতে পারে?
এসব কিছু মিলিয়েই আমরা আমাদের এই রিপোর্ট এ উল্লেখ করে বুঝাতে চেয়েছি যে,শুধু পুলিশের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না।নিজেদের ও কিছু জিনিস নিজ গুনে নিজ দায়িত্ব্য জ্ঞান থেকে কিছু কাজের অভিজ্ঞতা দিয়ে করা প্রয়োজন।এই দেশের প্রশাসন এই দেশের নিজেদের মানুষদের ক্রাইম রিপোর্ট গুলো তে সময় দিয়ে কুল পাচ্ছেনা।সেখানে আপনি আমি কতটুকু সুবিধা পেতে পারি এই দেশের প্রশাসন থেকে?
আরেক টি কথা মনে রাখবেন, আমরা প্রবাসী-আর তারা এখানকার স্থানীয়।তাদের সকল স্থানীয়দের ছুড়ে পেলে দিয়ে আমাদের নিয়ে চেতনা দেখাবে না এই দেশের পুলিশ প্রশাসন।তারপরেও তারা আমরা প্রবাসীদের জন্য কিছু ক্ষেত্রে কিছু কিছু প্রবাসীদের দিন রাত দোকানের আশেপাশে ট্রল দিয়ে সার্বক্ষনিক নিরাপদে রাখার কিংবা থাকার চেষ্টা চালিয়ে যায় তারা।এগুলোতে আমি নিজেও সাক্ষী।কিন্তু এগুলো সেই ভাবে তাদের সাথে সেই সম্পর্ক রিলেশনশিপ আপনি নিজেকেই তৈরী করে নিতে হবে।তাই কিছু সময় কিছু সমস্যায় খোদ জড়িয়ে না পড়ে এড়িয়ে যাওয়াটাই শ্রেয়।বেঝাল লম্বা না করে দ্রুত শেষ করাটাই উত্তম।ভুলে গেলে চলবেনা,এটি আমাদের দেশ নয়,এটি প্রবাস।
দক্ষিণ আফ্রিকায় আমরা প্রবাসী বাংলাদেশীরা যে শুধু খুন হত্যার শিকার হচ্ছি ঠিক তাই নয়।প্রতিদিন কোথায় না কোথাও দক্ষিণ আফ্রিকাস্থ নিজ স্থানীয় বাসিন্দারাও এই বাড়ি ডাকাতি,গাড়ি চিন্তাই, ,ধর্ষন সহ নানান অকারেন্সে খুন হত্যার শিকার হতে হচ্ছে এখানকার অধিক স্থানীয়দেরও।দক্ষিণ আফ্রিকার বর্তমান ক্রাইম হার অধিক পরিমানে বেড়ে যাওয়া নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রশাসন ও খুব একটা চিন্তিত এবং অনেকটাই আতঙ্কিত।
দক্ষিণ আফ্রিকা যে কনো পুলিশ স্টেশন গিয়ে দেখুন সেখানে অনেক স্থানীয়রা লাইনে দাঁড়িয়ে এক একজন এক একটি রিপোর্ট নিয়ে উপস্থিত রয়েছেন।পুলিশও রিপোর্ট লিখতে লিখতে এখন তারা অনেকটাই ক্লান্ত।আর কত রিপোর্ট আর কত সমস্যার সমাধান করবে তারা? পুলিশদের এককভাবে দুষী করাটাও আমাদের এক ধরণের বোকামি।
গত ৮ ফ্রেবুয়ারী ২০১৯ ইং তারিখ রোজ (শুক্রবার) গভীর রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্টার্ন কেপ প্রদেশের উটেনহেজ নামক যায়গায় স্থানীয় পুলিশ বিভাগ সেখানকার একটি ডাকাতির মামলা তদন্ত এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন।তারাও ভুক্তভোগী তাদের নিজ দেশের সন্ত্রাসীদের ক্রাইমগুলোতে।তারাও চায় ক্রাইম বন্ধ হউক।কিন্তু বন্ধ করার উপায় কি তারাও খু্ঁজছে।চলুন তাদের আমরা সর্বপ্রকার সহায়তা করি।তাদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলার পাশাপাশি তাদের আমাদের নিজ প্রয়োজনের কথা চিন্তা করে ভালোবাসি।
সরকারী রিপোর্ট অনুযায়ী, দুই সশস্ত্র সন্দেহভাজন একটি শয়নকক্ষ উইন্ডো মাধ্যমে বাড়ি ডাকাতির উদ্যেশ্যে একটি বাড়ি ভেঙ্গে ভিতরে ডুকে ঘুমে থাকা একজন ব্যক্তি (৩৫) বছর বয়সী দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক কে গুলি করে হত্যা করেছে।
নিহতের ৭ বছর বয়সী মেয়েটি তার বোডির উপরের অংশ (শরীরের) উপর পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও আহত হয়েছিল, তার অন্য মেয়েটি পালাতে পেরেছে বলে জানে বেঁচে গেছে।
পুলিশের মুখপাত্র সার্জেন্ট মজোলা নোকোহলি স্থানীয় সম্প্রদায়কে এই মামলায় সহায়তা করার আহবান জানান।
দক্ষিণ আফ্রিকাস্থ পুলিশ প্রশাসন সকলের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছেন যে,দক্ষিণ আফ্রিকার অপরাধ জগতের যে কাউ কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হতে হলে তাদের হোট লাইন নাম্বারে যে কনো সময় কল করে জানানোর জন্য।
আর তার জন্য ২৪ ঘন্টা দক্ষিণ আফ্রিকার স্টোপ ক্রাইম রিপোর্টে অভিযুক্ত সকল প্রকার তথ্য জানাতে সহায়তা করুন।যে কনো সময় যে কনো দুর্ঘটনার শিকার হলে ঠিক এই নাম্বারে যোগাযোগ করে আপনার নাম- ঠিকানা সহ সকল প্রকার তথ্য প্রধান করুন- (০৮-০১ ১০১১১)
Comments
Post a Comment