অবশেষে বেরিয়ে এলো শিশু হালিমা হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য


SAPB | JOHANNESBURG | RSA


রিপোর্ট জোহানেসবার্গ: 


অবশেষে বেরিয়ে এলো শিশু হালিমা হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য!

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাঞ্চল্যকর শিশু হালিমা হত্যাকাণ্ডের ‘রহস্য’ সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেছে পুলিশ। তাদের ভাষ্যে, হালিমার মা খাদিজা বেগম তার দেবর (শিশুটির চাচা) হেলাল মিয়া অনৈতিক প্রস্তাবের প্রতিবাদ করায় এর প্রতিশোধ নিতেই শিশুটিকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় হেলাল মিয়া ও তার সহযোগী রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য তুলে ধরেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন।

এ সময় তার সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) আবু সাঈদ, সদর মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জিয়াউল হক উপস্থিত ছিলেন।

আলমগীর হোসেন জানান, গত ২ ফেব্রুয়ারি শহরের ভাদুঘর এলাকা থেকে রাজমিস্ত্রি আমির হোসেনের ৩ বছরের মেয়ে হালিমার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর পুলিশের একাধিক টিম তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে হালিমার চাচা হেলাল মিয়াকে আটক করে পুলিশ।

পরে জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে হেলাল জানান, বেশ কিছু দিন আগে তিনি হালিমার মা খাদিজাকে অনৈতিক প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় এবং পারিবারিক কলহের জের ধরে এক মাস আগে তিনি ভাতিজি হালিমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এরই জের ধরে ২ ফেব্রুয়ারি সকালে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী হেলাল একটি চিপসের প্যাকেট নিয়ে হালিমাকে দেয় এবং তার সঙ্গে যেতে বলে।

এ সময় চিপসের লোভে হালিমা তার আপন চাচা হেলালের সঙ্গে যায়। পরে হেলাল হালিমাকে কোলে করে বাড়ির পাশে ডাবলু কমিশনারের বাড়ির নির্জন স্থানে নিয়ে যায়।

পরে ডাবলু কমিশনারের বাড়ি ও তার ভাইয়ের বাড়ির মাঝামাঝি স্থানে নিয়ে গিয়ে তার সহযোগী রুবেলের সহযোগিতায় হেলাল হালিমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

Comments