দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ফেনীর মহিন নিহত
SAPB | JOHANNESBURG | RSA
সাউথ আফ্রিকা কিছুতেই থামছেনা বাংলাদেশী হত্যা।
দক্ষিণ আফ্রিকার কোথাও না কোথাও প্রতিদিনই ঘটছে কোন না কোন মৃত্যুর ঘটনা।এতে করে হয়তো কারো ভাই, কিংবা কারো স্বামী, নয়তো কনো না কনো মায়ের কোল খালি হচ্ছেই।হয়তোবা বাড়ছে তাদের সংসারে থাকা সকল ঝুটঝামেলা।প্রবাসে থাকা ব্যক্তির আয়ের টাকা চিরতরে বন্ধ হয়ে চলছেনা আর সংসারের চাকা।
দক্ষিণ আফ্রিকায় কৃষাঙ্গ কার্তিক যতগুলো খুন হয়, দেখা যায় সব চেয়ে বেশি আমাদের বাংলাদেশীরাই সেই খুনের শিকার হয়।তার কারণ আজও অজানা।
এদিকে ২৩ জানুয়ারি বুধবার রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার নর্থ ওয়েষ্ট প্রভিন্সের রার্ষ্ট্রেনবার্গ শহরে ফেনী দাগনভূঁয়া পূর্ব চন্দ্রপুরের মহিন উদ্দিন নামের একজন প্রবাসী বাংলাদেশি ভাইকে কিছু কৃষাঙ্গ সন্ত্রাসী তার নিজ দোকানে ডুকে তাকে গুলি করে হত্যা করে ফ্রিজের ভিতরেই রেখে যায়।
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহির রাজিউন।
আমরা দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসরত সকল প্রবাসী বাংলাদেশীরা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি ও শোকাবহ পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
বিস্তারিত পুরো রিপোর্ট ঃ-
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ফেনীর মহিন নিহত
দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রনবার্গ এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার মহিন উদ্দিন মহিন (৪০) নামে যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার রাতে দক্ষিণ আফ্রিকায় তার নিজ দোকানে এঘটনা ঘটে।
নিহতের ভাই হুমায়ুন কবির জানান, বেশ কিছুদিন যাবত নিগ্রো সন্ত্রাসীরা টাকা দিতে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলো।
২৩ জানুয়ারি বুধবার রাতে কয়েকজন সন্ত্রাসী দোকানে হামলা করে লুটপাট করতে গেলে দোকানের মালিক মহিন উদ্দিন বাঁধা দিলে দূর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে হত্যা করে লাশ ফ্রিজে রেখে যায়।
সকালে দোকান বন্ধ দেখে পাশ^বর্তী ব্যবসায়ী ও লোকজন খোঁজাখুজি করতে গিয়ে দোকানের ভেতরে ফ্রিজের মধ্যে তার লাশ দেখতে পেয়ে মহিনের তালতো ভাই আনোয়ার হোসেনকে জানায়।আনোয়ার বাংলাদেশে ফোন করে পরিবারকে জানায়।খবর পেয়ে পরিবারে শোকের মাতম চলছে। সন্তান হারিয়ে পিতামাতা শোকে বিহবল।
পরিবার জানায়, দাগনভূঞার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের চন্দ্রদ্বীপ গ্রামের রমিজ উদ্দিন মিয়ার বাড়ির তনু মিয়ার ছেলে মহিন উদ্দিন ৩ বছর আগে জীবিকার তাগিদে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমায়।তনু মিয়ার ৪ ছেলে, ১ মেয়ের মধ্যে মহিন মেজো।মহিনের ৩ মেয়ে ও ১টি পুত্র সন্তান রয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় দোকান দিয়ে তিনি ব্যবসায় শুরু করেন।বছর খানেক পর ছোট ভাই হুমাযুন কবিরকেও তার কাছে নিয়ে যান।২০১৮ সালের শেষের দিকে হুমায়ুন অসুস্থ্য হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য তাকে দেশে ফেরত পাঠায়।
Comments
Post a Comment