দক্ষিণ আফ্রিকান বিভিন্ন বংশধর জাতিগুলোর বাসস্থান


সাউথ আফ্রিকা প্রবাসী বাংলাদেশী

দক্ষিণ আফ্রিকার দেশে প্রবাসীরা ছাড়াই স্থানীয় বিভিন্ন কালচারের মানুষ বসবাস করেন।প্রথমত এই দেশের স্থানীয় বংশধর কৃষ্ণাঙ্গরা, দ্বিতীয়ত স্থানীয় বংশধর শ্রেতাঙ্গ, তৃতীয়ত স্থানীয় বংশধর ইন্ডিয়ান।চতুর্থ স্থানীয় বংশধর চায়নিজ সহ আরো নানান জাতি বংশধর মানুষ বসবাস করেন।



এই সকল কালচারের মানুষদের থাকার ব্যবস্থা এই দেশের সরকার অনেক বছর আগেই আলাদাভাবে এরিয়া সিলেক্ট করে বাসস্থান তৈরী করে দিয়েছে যা আজও প্রচলন রয়েছে।


এই সকল এরিয়া গুলোতে এক কালচারের লোকেরা অন্য কালচারের বাসস্থানে গিয়ে দোকান কিংবা ব্যবসা পরিচালনা করেনা।যে যেই কালচারে  বসবাস করছে ঠিক সে সেই কালচারের বাসস্থানে ব্যবসাবাণিজ্য করছেন।


কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশীরা সকল কালচারের বাসস্থানে গিয়ে ব্যবসাবাণিজ্য করছে আজ প্রায় অনেক বছর যাবত যা কিছু ক্ষেত্রে তা একেবারেই উচিৎ নয়।বিশেষ করে কৃষাঙ্গদের খারাপ কিছু লোকেশন আছে যেখানে রাত জেগে চোর ডাকাতের পাহারা দিতে হয়।



যে সকল কালচারের ভিতরে বাঙালিরা ব্যবসা করছে, তার ভিতরে কৃষ্ণাঙ্গদের এরিয়াগুলোতে বাঙালিদের খুন ও হত্যা করা হচ্ছে বেশি, দোকান ডাকাতি কিংবা লুটের কারনে।


বাঙালিদের মত অন্য কনো কালচারের মানুষ এইভাবে গনহারে প্রতিটি কালচারের বাসস্থানে ব্যবসা করছেনা।যার কারণে অন্য কনো কালচারের মানুষদের মৃত্যুর সংখ্যা বাঙালিদের তুলনায় নেই বললেই চলে।


ইন্ডিয়ান কিংবা পাকিস্তানিরা বেশিরভাগ সময় শহরেই ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন।যারা লোকেশনে ব্যবসা করেন তারা লোকেশন গুলো শ্রেতাঙ্গ কিংবা ইন্ডিয়ান বাসস্থান এরিয়ায় দেখেই তারা ব্যবসাবাণিজ্য করে থাকেন।যার ফলে তাদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার খুব কম কিংবা নেই বললেই চলে।



দক্ষিণ আফ্রিকায় বাঙালিদের পাহাড়ের চিপায় কিংবা চরজব্বর নামক যায়গা যেখানে কারেন্ট নেই, পানি নেই,  কৃষ্ণাঙ্গদের সেইসব ভয়াবহ বস্তিবাসী এরিয়ায় ব্যবসা করতে দেখা যায় ২ চার পয়সা বেশি ইনকাম করার তাগিতে।কিন্তু সেই সব যায়গা গুলোতে কত শত বাঙালি মারা গিয়েছে তা আদো কনো মিডিয়ায় প্রকাশ পায় নি।বাঙালিদের এই সাহসিকতার কথা প্রায় সময় ইন্ডিয়ান কিংবা পাকিস্তানিদের মুখেই অনেক সময় শুনতে পাওয়া যায়, আমরা বাঙালিরা কিভাবে কৃষ্ণাঙ্গদের এরিয়ায় ব্যবসাবাণিজ্য করি, কিভাবে চলাফেরা করি!?! যার প্রশ্নের উত্তর আজও অনেকেরই অজানা।



সুতারাং, আমরা বলবো- টাকার লোভে কেউ সেই সব খারাপ লোকেশন গুলোতে জাবেন না। যার যার স্থান থেকে নিজের নিরাপদের কথা চিন্তা করুন, দেশে বউ বাচ্চার কথা চিন্তা করে ২ পয়সা কম ইনকাম হলেও শহরের আশেপাশে কিংবা শহরের উপরে ব্যবসাবাণিজ্য করাটাই শ্রেয়।চেষ্টা করলেই সেই চেষ্টার সফলতা পাওয়া যায় কনো একদিন।সকলেরই সফলতার পাশাপাশি সুন্দর জীবনযাপন সুন্দর হোক সেই প্রত্যাশা।


সকলেই সুস্থ থাকুক ভালো থাকুক সেই কামনা করি!

Comments