দক্ষিণ আফ্রিকা মুরাগজন লোকেশনে ৩০০ দোকান ভাংচুর


SAPB | JOHANNESBURG | RSA


দক্ষিণ আফ্রিকা পুমালাঙ্গার মুরাগজন লোকেশনে অন্তত ৩০০ দোকান ভাংচুর ও লুটপাট এবং রাস্তায় টায়ার জালিয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে সেখানকার স্থানীয়  কৃষ্ণাঙ্গরা।

দক্ষিণ আফ্রিকা পুমালাঙ্গা শহরের মুরাগজন লোকেশনে বসবাসকারী ও ব্যবসায়ী প্রবাসী বাংলাদেশী -নোয়াখালি সোনাইমুড়ি থানা ৭ নং ইউনিয়ন- বজরা  গ্রাম মাছিমপুর মোতালেব মেম্বার বাড়ির- কৃতি সন্তান,শেখ নাছির ভাইয়ের দোকানের কিছু ছবি সহ আরো অন্যান্য বেশকিছু ছবি ও রিপোর্ট উনার প্রচেষ্টা ও সার্বক্ষনিক সহযোগীতার মাধ্যমে আমরা সেখানকার সকল তথ্য ও খবরা খবর সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছি।



দ্বিতীয় ছবিতে শেখ নাছির এবং তার দোকানের ছবি, আর বাকি ছবিগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষরূপী হায়নারা কি অবস্থা করেছে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের।তিনি এই ভাংচুরের শিকার হয়ে ২টি দোকান হারিয়ে এখন নিস্ব হয়ে পড়েছেন।

এমতাবস্থায় সেখানে শেখ নাছির সহ আরো অন্যান্য প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্তের শিকার হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন সেখানকার আরেক প্রবাসী ভাইয়ের দোকানে।

প্রবাসীরা দেশ থেকে টাকা ধারকর্জ কিংবা ব্যংক লোন করে এই প্রবাসে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইনবেস্ট করে থাকেন।সেই টাকাগুলো অনেক সময় পরিশোধ করার পূর্বেই কনো না কনো সমস্যার (জের) অজুহাতে দক্ষিণ আফ্রিকাস্থ স্থানীয় কৃষ্ণাঙ্গরা প্রবাসীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেংঙ্গে চুরমার করে পঙ্গু করে দিয়ে যায় প্রতিটি বছরই।যার কনো বিকল্প মতামত কিংবা সমাধানহীন সমস্যা,যার কনো সমাধান আজও দক্ষিণ আফ্রিকাস্থ প্রবাসী বাংলাদেশীরা পাইনি এবং পাওয়ার কনো সঠিক উপায়ও খুজে পাচ্ছেন না।


দক্ষিণ আফ্রিকার পুমালাঙ্গা Morgenzon শহরের উপরে একজন প্রবাসী বাংলাদেশীর Wholesale দোকান- কাজি ষ্টোরে শেখ নাছির সহ আরো বেশকিছু প্রবাসী বাংলাদেশী আপাতত মাথা গুজার ঠাই নিয়ে সেখানেই অবস্থানরত আছেন।আর অন্যান্য প্রবাসী বাংলাদেশীরা অন্যান্য প্রভিন্স শহরে অবস্থানরত রয়েছেন।

কাজি ষ্টোরের দোকান মালিক একটি মহৎ কাজের পরিচয় দিয়েছেন।তিনার দোকানে অবস্থানরত সকল অসহায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের থাকা খাওয়ার দায় দায়িত্ব্য সহ অসহায় প্রবাসীদের আরো অন্যান্য সমস্যা দেখপাল ও খরচ বহন করছেন।দক্ষিণ আফ্রিকাস্থ প্রবাসী বাংলাদেশীরা তিনার এই সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন।

গত পরশু থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা পুমালাঙ্গা  Morgenzon লোকেশনে স্থানীয় কৃষ্ণাঙ্গরা দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের কাছে তাদের নানান দাবী-দাওয়া নিয়ে প্রবাসীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর - লুটপাট - অগ্নিসংযোগ করছে।এ পর্যন্ত তিন শতকেরও অধিক দোকান ভাংচুর করে লুটেপুটে নিয়েছে তারা।দোকানে থাকা একটু সুতো পরিমান কিছু রেখে যায়নি সেখানকার স্থানীয় কৃষ্ণাঙ্গরা।



কিন্তু এই ব্যপারে পুমালাঙ্গার প্রশ্বাসন একেবারেই নিরব।শুধু পুমালাঙ্গাই নয়,এই সমস্থ হামলা দক্ষিণ আফ্রিকার যেখানেই হয়,প্রশ্বাসন এ বিষয়টা নিয়ে একেবারেই নিরব থাকে এবং পত্র পত্রিকায়ও তারা এই বিষয়গুলো তুলে ধরেনা, শুধু আমরা নিজেদের রিপোর্ট তৈরী করা ছাড়া এগুলো অন্যথায় প্রচারও করা হয় না।

দক্ষিণ আফ্রিকায় অতিতেও এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাস্থ প্রবাসী বাংলাদেশীদের।আর দুক্ষের বিষয় হলেও সত্যি, ঠিক এই সময়গুলোতে দক্ষিণ আফ্রিকাস্থ সকল মিডিয়াগুলো একতালে নিরাবতা পালন করে শুধুমাত্র আমরা প্রবাসী বলেই।

আমরা যারা দক্ষিণ আফ্রিকার ভিবিন্ন শহরে বা গ্রামে ব্যবস্যা বানিজ্য করে থাকি,তারা সবাই কোন না কোন সময় তাদের এই ভয়াবহতম হামলার স্বীকার হয়ে এসেছি।সেই রেকর্ড আমাদের অনেকেরেই।আমাদের ভিতরে থাকা খুব কম মানুষ আছে যে এগুলো ফেচ করিনি।তার ভিতরে অনেকেই আজ আমাদের মাঝে নেই, তাদের এই কষ্টের প্রবাস জীবন থেকে বিদায় নিতে হয়েছে চিরতরে।কেউ কেউ নিজ দেশে আর কেউ বা অন্য কনো দেশে চলে গেছেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকাস্থ স্থানীয়দের দাবি-দাওয়া থাকতেই পারে।কিন্তু অসহায় প্রবাসীদের দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট করার ইসুটাই খুজে পাইনি দক্ষিণ আফ্রিকাস্থ সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশীরা।প্রতিটি বছরই কোথাও না কোথাও এই অগ্নিসংযোগ ভাংচুর লুটপাট হতেই দেখা যায়।

যারা অসহায় জীবনযাপন করছে তাদের আরো নিড়হারা করে রাস্তায় বসিয়ে দেয়া হচ্ছে ইচ্ছামত।প্রবাসের জীবনে এমন হালগুলো কে কাকে দেখবে?এই সমস্ত সমস্যাগুলোর কারণে এক একটি প্রবাসী চিরতরে দুনিয়া থেকে বিদায় নিচ্ছে নিরবে নিরালায়।কেউ কাউ কে কিছু বলতে পারছে না,বুঝাতেও পারছেনা।আল্লাহ যারে দেয় তারে খাপ্পর মাইরা দেয়,আর যার নেই তার কিছুই নেই।ঠিক এমনি দক্ষিণ আফ্রিকাস্থ অধিক প্রবাসী বাংলাদেশীদের বর্তমান অবস্থা ও পরিণতি।

কৃষ্ণাঙ্গরা এই ধরনের সমস্যাগুলো করার ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রশাসন কখনোই তাদের কাছে পরাজিত হয় নি কিংবা হার মানেনি,তারা যে সকল দাবী-দাওয়া তুলে ধরে তার অধিক অগ্রহণযোগ্য দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের কাছে।আর দাবী মানতেই হবে এমনটি উদ্যেগ নিয়েই স্থানীয়রা ভাংচুর ও লুটপাট শুরু করে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন রাজনৌতিক প্রতিপক্ষীয় সমস্যা সহ আরো নানান কারণে সকল ভাংচুর ও লুটপাট সহ পেট্রোল ডালিয়ে পুড়িয়ে মৃত্যুর শিকার দক্ষিণ আফ্রিকাস্থ অসহায় প্রবাসী বাংলাদেশীরাই সব চেয়ে বেশী নিপীড়িত ও নির্যাতিত।

এর পিচনের রহস্য কিংবা ইতিহাস অনেক বিশাল।সর্বপরি আমরা বাংলাদেশীদের অভিভাবক কিংবা আমাদের হয়ে কথা বলার কেউ নেই বলেই তার অন্যতম বড় সমস্যার ভুক্তভোগী আমরা প্রবাসী বাংলাদেশীরা।

দক্ষিণ আফ্রিকাস্থ স্থানীয় কৃষ্ণাঙ্গরা কিছুই করেনা, এবং এটা তাদের একটা নিচু মানের চিন্তা ধারার কাজ।এই দেশের সরকারও তাদের উপর বিরক্ত হয়ে আছেন, কারণ এরা চায়না কোন কাজ করতে,চায় সব কিছু বিনা মূল্যে।তাদের কথা হলো দেশটি আমাদের আমরা কেন কাজ করে খাবো? সরকার আমাদের সবকিছুই করে দিতে হবে।সরকার আমাদের সব কিছু ফ্রিতে দিতে হবে।

সরকার তাদের পরিবার পরিকল্পনার জন্য ফ্রিতে কনডমও দেয়।যারা এদেশের স্কুল কলেজ লাইব্রেরি হাসপাতাল ও পুলিশ স্টেশন সহ সরকারি বেসরকারি ভিবিন্ন অফিসে গিয়েছেন তারা নিশ্চয়ই এই বিষয়টি খুব ভালো করেই জানেন এবং বুঝেন।

আল্লাহ্ এই এক আজব জাতি সৃষ্টি করে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন,যারা কাজ করা ছাড়া তাদের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব কিছুই ফ্রীতে চায়।তাদের স্থান কোথায় গিয়ে পৌছাই তা এক আল্লাহই ভালো জানেন।

নিরীহ প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিনাকারণে হত্যা খুন সহ দোকান পাট ভাংচুর ও নানানভাবে কষ্ট দেয়ার বিচার আল্লাহতালা একদিন করবেই।যেই সকল প্রবাসীদের কনো কারণ ছাড়াই হত্যা করা হয়েছে তারা সহ তাদের সকলের পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের রুহের অভিশাপ্ত নরকের আগুনে জ্বলবেই একদিন সেই সন্ত্রাসীরা।

দক্ষিণ আফ্রিকায় একটা বড় সমস্যা,এই ভাংচুর ও লুটপাটগুলো যখন দক্ষিণ আফ্রিকার যে কনো একটি কর্নার থেকে আরম্ভ হয়?তা গিয়ে শেষ হয় আরেক টি শেষ প্রান্তে।যা বেশিরভাগ লোকেশনে থাকা প্রবাসী ব্যবসায়ীরাই এই লুটের শিকার হন।সকল প্রকার ক্ষয়-ক্ষতি ও লুজার হচ্ছেন বেশিরভাগ প্রবাসী বাংলাদেশী।

এই দুক্ষি প্রবাসী মানুষগুলো একবার নয়,তারা বারবার নির্যাতিত।প্রতিটি দিন, প্রতিটি মাস,প্রতিটি বছর যুদ্ধের ময়দানের যোদ্ধাদের মত টাকা আয় করে দেশে পরিবার পরিজনদের জন্য পাঠাতে হয়।এই যুদ্ধ যেনো ৭১ সালের যুদ্ধকেও হার মানায়।

মহান আল্লাহ আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশী ভাইদের হেফাজত করুন।অসহায় প্রবাসীদের এই প্রবাসের জীবনে সকল প্রকার সমস্যা সমাধান করুন।আমিন!


Comments