প্রবাসীদেরকে বিয়ে না করতে উপদেশ দিলেন পুলিশ কর্মকর্তা
SAPB | JOHANNESBURG | RSA
জোহানসবার্গ ঃ- প্রবাসীদেরকে বিয়ে না করতে উপদেশ দিচ্ছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা?
ফেনীর ছাগলনাইয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমএম মুর্শেদ এক স্কুলের অনুষ্ঠানে মেয়েদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, প্রবাসী ছেলেদের বিয়ে করবে না।
ফেইসবুকে এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে স্থানীয়দের মধ্যে।
ভিডিওতে দেখা যায় ওসি এম এম মুর্শেদ বলছেন, তারা (প্রবাসীরা) তোমাদের কাজের মেয়ে হিসেবে ট্রিট করে বিয়ে করে চলে যাবে, আবার আসবে তিন বছর পরে।
এরকম কোনও শ্বশুর-শাশুড়ি বিদেশি ছেলেদের সঙ্গে বিয়ে দিতে চাইলে ৯৯৯ নম্বরে কল করবা, পুলিশ আর আগের পুলিশ নাই।
গেল মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) ছাগলনাইয়ার হিছাছরা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে ওসি মুর্শেদ প্রবাসীদের স্বামী হিসেবে গ্রহণ না করার জন্য ছাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানান।এই বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
এ ঘটনায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের ফেসবুকে ওসিকে কটূক্তিকারী হিসাবে চিহ্নিত করেন।পাশাপাশি তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার জন্য দাবি জানান সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
এদিকে ওসি মুর্শেদ বলেন, এ ধরনের কোনও বক্তব্য আমি দেয়নি।তিনি বলেন, প্রবাসী ভাইদের খাটো করার জন্য এরকম কিছু বলিনি। তবে আমার প্রবাসী ভাইয়েরা আংশিক বক্তব্যের ভিডিও দেখে কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।
এদিকে ফেসবুকে আল আমিন নামে এক মালয়েশিয়া প্রবাসী তার ফেসবুকে লিখেন, আমাদের পাঠানো রেমিট্যান্সে সরকার তার উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন করে।তাহলে কেন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে একজন ওসি প্রবাসী ছেলেদের বিয়ে না করার অনুরোধ করেন? এমন বিরূপ মন্তব্য করে প্রবাসীদের ছোট করেছেন ওসি। তার এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হিছাছরা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ওসির বক্তব্যে হতাশা প্রকাশ করেছেন।তারা জানান, পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা থেকে এ ধরনের বক্তব্য শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা প্রত্যাশা করেননি।তারা বলেন, এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি হচ্ছে প্রবাসীদের পাঠানো কষ্টার্জিত অর্থ।
একটু কান পেতে শুনুন,প্রবাসে এখন এক কোটি ৩০ লাখ বাংলাদেশী।প্রতিজন প্রবাসী ১৭ জন মানুষকে খাইয়ে পড়িয়ে বাঁচিয়ে রাখতে পারে এবং অনেক ক্ষেত্রে রাখছেনও।
বিয়ে না করা মানে ব্যাচেলর প্রবাসীর সংখ্যা এখন সংখ্যায় অনেক কমে গেছে।তারপরও প্রবাস জীবনে স্থায়ী পারমিট করতে একজন প্রবাসীকে কী পরিমান যুদ্ধ আর সংগ্রাম করতে হয় তা আপনার ঘুষ দিয়ে নেয়া চাকুরী, আর ঘুষের উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকা জীবন দিয়ে কখনও উপলব্ধি করতে পারবেন না।দেশের মেয়েদের মংঙ্গল চাচ্ছেন? সে জন্য মেয়েদের প্রবাসীদের বিয়ে করতে বারণ করছেন?
আর আপনারা পুলিশ প্রশাসনের অনেক কর্তা ব্যাক্তিরা অবৈধ আয় দিয়ে একাধিক অবৈধ সংসার করে দেশের মেয়েদের উদ্ধার করবেন এই তো? অনেকেতো তাই করছেন তাই না?আরও করবেন সেই ধান্দাবাজীতে আছেন এটাই এখানে স্পষ্ট? পুলিশি রাষ্ট্র,পুলিশকে উর্দি পরে এখন স্কুল কলেজে বক্তব্য রাখতে হয় মেয়েদের সামনে।মেয়েদের বোঝাতে!
রাজনীতিবিদ না হয় বাদ দিলাম,দেশে কথা বলার জন্য সুধিজন, মানি জন, শিক্ষক, গন্যমান্য আর কেউ কী নাই।একসময় শিক্ষকের কথাই সবাই শুনতো।এখন শিক্ষকদের পড়াতে আসেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা।সবাই আমরা অবুঝ।বুঝবার ক্ষমতা মনে হয় কেবল উনাদেরই আছে।
হ্যা। এটাও ঠিক আছে।বিয়ে করে বিদেশে আসলে আবার দেশে ফেরত যেতে তিন চার বছর লেগে যেতে পারে একজন প্রবাসীর।সেখানে মেয়েদের নৈতিক শিক্ষা প্রদান করতে হবে।মেয়েদের আরো যোগ্য হয়ে উঠতে হবে।
এ সময়টাতে বিভিন্ন শিক্ষা তারা গ্রহন করতে পারে।ভকেশনলার ট্রেনিংগুলো করতে পারে, যেমন-জ্রাইভিং, বিভিন্ন রান্না বান্না, চুলকাটা, সেলাই করা, এবং যে দেশে আবার যাবেন সে দেশের ভাষা শিক্ষা করা।
সেই নৈতিক শিক্ষার বদলে আপনি মেয়েদের উস্কানি মূলক শিক্ষা দিচ্ছেন?মেয়েদের বলছেন তোমাদের কাজের মেয়ে বানাবে? কি হাস্যকর সব কথা।এটার পিছনে আসলে যুক্তিটা কী?
আপনার বুদ্ধি লোভ পেয়েছে।অবৈধ আয় আপনাকে অমানুষে পরিনত করেছে।মানবিকতার ম ও আপনার মধ্যে নাই।দ্রুত প্রবাসীদের কাছে ক্ষমা চাইবার জন্য আপনাকে আহবান জানাচ্ছি।যে ভাষায় আপনি নতুন করে বক্তব্য রেখেছেন, এটা কোন বিচার নয়।
ডিজিটাল আইনেই আপনার বিচার হওয়া উচিত।আমরা প্রবাসীরা প্রচন্ড ব্যাথিত।
Comments
Post a Comment