দক্ষিণ আফ্রিকায় একদিন না যেতেই আবারো একজন খুন
SAPB | south africa |
ফের বাংলাদেশী খুন ||
২৪ ঘন্টার ব্যবধানে সাউথ আফ্রিকায় আবারো খুন হল বাংলাদেশী ব্যবসায়ী মুহাম্মোদ আব্দুর রহিম নামে একজন প্রবাসী।সাউথ আফ্রিকার প্রশাসনিক রাজধানী প্রিটোরিয়া সংলগ্ন সহানবাগ এলাকায় এই খুনের ঘটনাটি ঘটে।
সূত্রে যানা যায়,গতকাল ২২ নভেম্বর ২০১৮ ইং তারিখ (বৃহ:বার) রাতে আব্দুর রহিম দোকান বন্ধ করে বাসায় ফেরার পথে কয়েক জন স্থানীয় কৃষ্ণাঙ্গ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ডাকাতির উদ্দেশ্যে তার উপর হামলা করে এবং উপর্যপরি ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাহি রাজিউন।
নিহত আব্দুর রহিমের দেশের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সেনবাগ ৮ নং ফকির হাটে।
উল্লেখ্য, এই নিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় সাউথ আফ্রিকায় ৩ জন বাংলাদেশী নিহত হয়।এর মধ্যে ১ জন গুলিতে, ১ জন ছুরিকাঘাতে ও ১ জন হার্ট স্ট্রোক করে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত হয়।
এছাড়া গত ১ মাসে সাউথ আফ্রিকায় শুধুমাত্র বাংলাদেশী খুন হল ২৭ জন।
দক্ষিণ আফ্রিকার লাশের মিছিলে যোগ হলো এবার আরো একটি তরুন বাংলাদেশী মো: আব্দুর রহিম।
শুরু হতে যাচ্ছে ভয়ানক ও ভয়াবহ ডিসেম্বর মাস,এই মাসটি দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও বর্বরতার মাস।অতীতে দেখা গেছে এই মাসেই সব চেয়ে বেশি খুন,হত্যা,সহ ভয়াবহ অপকর্ম গুলো ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে।
দিন যতই যাচ্ছে ততই সবচেয়ে বেশী বাংলাদেশী প্রবাসীদের লাসের শাড়ি দীর্ঘ হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকাতে।
গতকাল 22 /11 /2018 তে দক্ষিণ আফ্রিকায় দুজন প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু ঘটেছে তার এক দিন পার হতে না হতেই কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হলো অপর একজন প্রবাসী বাংলাদেশী দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ার সহানবাগ লোকেশনে নিজ দোকান বন্ধ করে রুমে যাওয়ার সময় একদল কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসী ডাকাতির উদ্দেশ্যে তার উপরে হামলা করে এবং নির্মম ভাবে অত্যাচার চালায় তার ওপর এবং পলিথিন দ্বারা তার সমস্ত মুখমন্ডল আটকে ফেলে এতে করে শ্বাস-প্রশ্বাসের কারণে ঘটনাস্থলে মৃত্যু বরণ হয়।
তারপর ডাকাতদল লুট করে নিয়ে যায় দোকানে থাকা সমস্ত মূল্যবান জিনিসপত্র এবং নগদ অর্থ সহ সবকিছুই।
এইভাবেই বেশীরভাগ খটনায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের দিনের পর দিন হত্যা করা হচ্ছে।এতে নেই কনো প্রশাসনিক কঠোর ব্যবস্থাপনা।হয়তো দেখা যায় প্রথম ২ থেকে সর্বচ্চ ৪ দিন পুলিশ প্রশাসন তাদের সিরিয়াসনেস দেখালেও পরবর্তীকালে তারা সব ভুলে যায়।আর ভুলে যাওয়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে আমরা প্রবাসী তার ভিতরে বাংলাদেশী।দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশীরা অভিভাবকহীন।তাদের সামনে এবং পিচনে গার্ড দেয়ার মত কেউ নেই।দুক্ষের বিষয় হলেও সত্য,বাংলাদেশ সরকারের ও এই নিয়ে নেই কনো মাথা ব্যথা।যার ফলে দক্ষিণ আফ্রিকাস্থ পুলিশ প্রশাসনের এইসব বিষয়ে কিছু যায় আসেনা।
হে আল্লাহ আপনি মরহুমের জীবনের সমস্ত ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে দিয়ে তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থিত সকল প্রবাসীদের আপনি হেফাজত করুন। আমীন সুম্মা আমীন।
সকল প্রবাসীরা দক্ষিণ আফ্রিকায় সাবধানতা অবিলম্বন করুন।
Comments
Post a Comment