দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশী নিহত
দক্ষিণ আফ্রিকায় আবারো সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশী নিহত।
সাউথ আফ্রিকার লিম্পুপো ও পুমালাঙ্গা প্রদেশের সিমান্তে সিয়াবুসো নামক যায়গায় অজ্ঞাত অস্ত্রধারীদের গুলিতে মেহেদি হাসান (তরুন) বয়স (৩৫) নামের একজন প্রভাবশালী বাংলাদেশী ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবত দক্ষিণ আফ্রিকায় সফল ব্যবসায়ী ও সুপরিচিত সূলভ বসবাস করে আসছিলেন।তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় এক কৃষাঙ্গ নারীকে বিয়ে করেন এবং সেই বিবাহিতা স্ত্রীর সাথে বসবাসরত নয় বছরের একটি ছেলে সহ তিন বছর বয়সী একটি মেয়েও আছে।
২২ নভেম্বর ২০১৮ ইং তারিখ (বৃহ:বার) বিকাল ৫ টার সময় দক্ষিণ আফ্রিকার সুপরিচিত (কাপড়ের দোকান) পেপ স্টোর থেকে বাচ্চাদের জন্য কাপড় কিনে বাহির হয়ে নিজ গাড়িতে উঠার সময় কয়েক জন অজ্ঞাত অস্ত্রধারী তাকে লক্ষ্য করে পিছন থেকে গুলি করলে তিনি মাটিতে লুটে পড়ে ঘটনাস্থলেই ইন্তেকাল করেন।
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন।
নিহত তরুন ঐ এলাকার প্রভাবশালী বাংলাদেশী সফল ব্যবসায়ী এবং বাংলাদেশী কমিউনিটির একজন সুনামধন্য নেতা বলে জানাগেছে।
নিহত তরুন জামালপুরের হাজিপুর দোয়ানি পাড়ার আব্দুল করিমের ছেলে।
এসময় সেখানকার স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভাস্যতে "সূত্রে" যানা যায়- কেনো এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে তাৎক্ষনিক কেউ কিছু বলতে না পারলেও হত্যাকান্ডের ধারণ দেখে বুঝা যাচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অন্য কোন বাংলাদেশী ব্যবসায়ী ভাড়াটিয়া খুনি দিয়ে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে স্হানীয় অন্যান্য বাংলাদেশীদের ধারণা একই এলাকার জুয়েল নামক আরেক বাংলাদেশীর সাথে দীর্ঘ দিন ধরে নিহত (তরুন) এর ব্যবসায়িক ঝুট ঝামেলা চলে আসছেলো।সে কারণে জুয়েল হয়তো ভাড়াটিয়া খুনি দিয়ে তরুনকে খুন করতে পারে বলে সবাই মন্তব্য করছেন।
স্হানীয় বাংলাদেশীদের মতে ঐ জুয়েল কিছু দিন আগে তার নিজ দোকানের একজন আফ্রিকান কৃষ্ণাঙ্গ মালাওয়ের কর্মচারীকে নিজ হাতে গুলি করে হত্যার পর গ্রেপ্তার হয়ে বেশ কিছুদিন জেলে ছিলেন বলে যানা যায়।
তবে সন্দেহ হলেও আসল তথ্য এখনো পুরোপুরি জানা যায় নি।আমরা তথ্য পাওয়া মাত্র আমাদের পেইজে প্রকাশ করবো।বিস্তারিত তথ্য পাওয়া পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন।
Comments
Post a Comment