বালিশের পাশে মোবাইল রেখে ঘুমানো কতটা ঝুঁকিপূর্ণ?


SAPB | JOHANNESBURG | RSA


বালিশের পাশে মোবাইল রেখে ঘুমানো কতটা ঝুঁকিপূর্ণ?


ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত মোবাইল এখন সঙ্গী বহু মানুষের।কিন্তু জানেন কি, মোবাইল ফোনের এই নিত্য ব্যবহার কীভাবে ক্ষতি করছে আপনার শরীরের? 


সম্প্রতি চীনের সিনহুয়া ইউনিভার্সিটি আর আমেরিকার ইনস্টিটিউট অফ এনবিসি ডিফেন্স-এর গবেষকরা দু’টি পৃথক গবেষণায় দেখিয়েছেন, মোবাইল ফোনের সার্বক্ষণিক সঙ্গ, বিশেষত রাত্রে ঘুমনোর সময়ে শরীরের কাছাকাছি মোবাইল ফোন রাখা অত্যন্ত বিপজ্জনক।এই অভ্যাস প্রাণঘাতীও হতে পারে।


গবেষকরা বলছেন,আজকাল অধিকাংশ মোবাইল ফোনেই ব্যবহৃত হয় লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি।


এই ব্যাটারি থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় প্রায় একশোটি গ্যাস নির্গত হয়,যেগুলি মানবশরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর।এই সমস্ত গ্যাসের মধ্যে রয়েছে কার্বন মনোক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাসও। এই কার্বন মনোক্সাইড যদি অতিমাত্রায় শরীরে প্রবেশ করে তাহলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।


তবে গবেষকরা জানাচ্ছেন,সাধারণভাবে মোবাইলের ব্যাটারি থেকে যে পরিমাণ গ্যাস নির্গত হয় তা প্রাণঘাতী মাত্রার নয়।তবে বিষয়টি সম্পর্কে মোবাইল গ্রাহকদের সচেতনতা অবশ্যই প্রয়োজন।


বিশেষত যারা রাত্রে ঘুমানোর সময়ে মোবাইল ফোনটিকে শোওয়ার ঘরেই রেখে দেন, সেইসঙ্গে ঘরের জানলা-দরজাও বন্ধ রাখেন, মোবাইলের প্রভাবে তাদের শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।মোবাইলের ব্যাটারি-নির্গত গ্যাসের প্রভাবে মানুষের চোখ,নাক ও গলা জ্বালার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।যারা রাত্রে ঘুমানোর সময়ে মোবাইলটিকে চার্জে বসিয়ে রাখেন,তাদের শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি।কাজেই গবেষকদের পরামর্শ,রাত্রে ঘুমনোর সময়ে চেষ্টা করুন মোবাইলটিকে অন্য ঘরে রাখতে।


চার্জ দিনের অন্য সময়ে দিন।আর একান্তই যদি মোবাইলটিকে শোওয়ার ঘরে রাখতে হয়,তা হলে চেষ্টা করুন ঘরের অন্তত একটি জানলা খোলা রাখতে।


অবশ্য গবেষকরা জানিয়েছেন,শুধু রাত্রে নয়,মোবাইলের সান্নিধ্য দিনের যে কোনও সময়েই ক্ষতিকর।এবং মোবাইল বা ট্যাবের ব্যাটারি যদি নিম্নমানের হয়,তাহলে তা থেকে নির্গত গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়,ফলে শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনাও বাড়ে। গবেষকরা জানিয়েছেন,যেসব মোবাইল বা ট্যাবলেটের ব্যাটারি চার্জিং-এর সময়ে গরম হয়ে যায়,সেগুলি সাধারণত বেশি ক্ষতিকর হয় শরীরের পক্ষে।


এছাড়া অনেক সময় মোবাইলের ব্যাটারি বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটতে দেখা গেছে।

Comments